Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে ৯ কোম্পানি আগামী বছর উৎপাদনে যাচ্ছে
বিস্তারিত

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে দেশী বিদেশী নয়টি কোম্পানি আগামী বছর থেকে উৎপাদনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানিগুলো হাইটেক পার্কে মোবাইল, ল্যাপটপ, কমিউনিকেশন ডিভাইস, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, আইওটি, বিপিও, ট্রেনিং সেন্টার, ডাটা সেন্টারসহ বিভিন্ন আইটি পণ্য তৈরির কারখানা স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কয়েকটি কারখানা আগামী বছরের মধ্যে উৎপাদনে যেতে পারবে। উৎপাদিত পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করাও সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে প্রযুক্তি কোম্পানি দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করছে। সবগুলো কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে গেলে ২৫ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ বছরের শুরুর দিকে কোম্পানিগুলো তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পৃথক চুক্তি সই করেছে। আইসিটি খাতে বেসরকাররীভাবে এটিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ।

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, রবি আজিয়াটা, জেনেক্স, বিজেআইটি সফটওয়্যার, ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক, কেডিএস গ্রুপ, ইন্টারক্লাউড, বিজনেস অটোমেশন, নাসডাক টেকনোলজি ও জেআর এন্টারপ্রাইজ এই কোম্পানিগুলো পৃথক কারখানা তৈরির কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে। কোম্পানিগুলোকে গত বছর প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। হাইটেক পার্কে তারা আগামী ৪০ বছর বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। বেশ কয়েকটি কোম্পানি পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। চুক্তিতে ২০ দশমিক ৫০ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয় ৯ কোম্পানিকে। সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, আইওটি, বিপিও, ট্রেনিং সেন্টার, ডাটা সেন্টারসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে। বাংলাদেশের শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা সহজেই কাজের সুযোগ পাবেন।

সূত্র জানিয়েছে, দেশের তরুণ সমাজ মেধাবী হিসেবে ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে সুনাম কুড়িয়েছে। এই তরুণ সমাজের হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ অল্প সময়ের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়েছে। ভিশন ২০২১ আগে দেশ পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। ডিজিটাল ডিভাইস বানিয়ে রফতানি করা অসম্ভব কিছু না। দেশী-বিদেশী এই ৯ কোম্পানিতে দেশের ২৫ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান তৈরি হবে। আবার অনেকেই বিশ্বমানের তথ্য প্রযুক্তিবিদ হয়ে বেড় হতে পারবেন। তরুণ-তরুণীরা সরকারের লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে তারা এক একজন নাম করা তথ্যপ্রযুক্তিবিদ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নে দেশের তরুণরা সরকারের কাছে হাত পেতে নেই। দেশ গড়তে তারা নিজেরাই এগিয়ে এসেছে। আমি তাদের দেখে গর্বিত। তারা নিজ উদ্যোগে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশ্বে একটা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। তরুণরা সঠিক প্রশিক্ষণ পেলে এই ক্ষেত্রগুলোতে নেতৃত্বে আসতে পারবে। বর্তমানে কোন উন্নয়ন কার্যক্রম এককভাবে শহর কেন্দ্রিক নয়। আমরা দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ফাইবার অপটিকাল লাইন পৌঁছে দিচ্ছি। এখন পর্যন্ত আড়াই হাজার ইউনিয়নে তা পৌঁছে গেছে। সেই সঙ্গে স্টার্টআপ তৈরি, ইনোভেশন এবং উদ্যোক্তা তৈরির জন্য নেয়া সরকারী প্রশিক্ষণগুলো কিছুদিনের মধ্যেই সারাদেশ থেকে আয়োজন করা হবে। বেসরকারীভাবেও এই প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য দেশী- বিদেশী কোম্পানি দেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, সরকার দেশে আইসিটি সেক্টরকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই সেক্টরে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করতে নানা ধরনের কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকার তথ্যপ্রযুক্তিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে। ২০১৮ সালের নেয়া এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের টার্গেট ইতোমধ্যে পূরণ হয়ে গেছে। এখন ২০২১ সালের মধ্যে ২০ লাখের বেশি তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী বা মানব সম্পদ তৈরি করা হবে। এই ২০ লাখ পেশাজীবী জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ জন্য সারাদেশে কানেক্টিভিটি তৈরি করা হয়েছে। দেশের গ্রামাঞ্চল থেকেও যেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদরা কাজ করতে পারেন এমন অবকাঠামো গড়ে তোলার কাজ চলছে। টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছেন। এ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের এমন কোন ইউনিয়ন থাকবে না, যেখানে কানেক্টিভিটি যাবে না। সারাদেশ কানেক্টিভিটির আওতায় চলে আসবে। যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না। ইতোমধ্যে দেশের অনেক অঞ্চলে কানেক্টিভিটি তৈরি করা হয়েছে। দেশের সকল ইউনিয়ন কানেক্টিভিটির আওতায় চলে আসবে। এর বাইরে বেসরকারী উদ্যোগেও আইসিটি উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। দেশের সব স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হবে। এই প্রকল্পটি চলমান রয়েছে। এ বছরের মধ্যে প্রকল্পটির অর্ধেক কাজ বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ পুরোটাই শেষ হবে। জানা গেছে, হাইটেক পার্কে যে ৯ কোম্পানি বিনিয়োগ দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে আইসিটি পণ্য তৈরি করবে। এখানে দেশের ২৫ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এতে দেশের বেকারত্ব অনেকাংশে কমবে। আরও কিছু কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। দেশী-বিদেশী যত বিনিয়োগ বাড়বে দেশের বেকারত্ব তত দূর হবে। দেশে আইসিটি খাতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা নিরাপদে এই সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এমন দিন আসবে হাইটেক পার্কের একখ- জমিও পড়ে থাকবে না। পানি, বিদ্যুত, গ্যাসসহ সব সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। এখানে নতুন করে কোন কিছুই করতে হবে না। সরকারের পক্ষ থেকে সবকিছু করেই রাখা হয়েছে। এখন শুধু বিনিয়োগকারীরা শিল্প স্থান করবে। 

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
03/11/2019
আর্কাইভ তারিখ
30/01/2020